এর আগে আলোচনা সভায় বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের ব্যাপারে খসড়া প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে আমরা প্রথমত হল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করছি। প্রশাসনিক ও একাডেমিক পর্যায়ের দায়িত্বরতদের সাথেও কথা হচ্ছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এটা জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়।
জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাক্রম বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র জনতার উপাচার্য হয়ে আসা অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে জানান, চলতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-কার্যক্রম চালু করা হবে।
তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে আমরা প্রথমত হল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করছি। প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক পর্যায়ের দায়িত্বরতদের সাথেও কথা হচ্ছে আমাদের।'
এই বিশ্ববিদ্যালয় কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয় উল্লেখ করে নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, 'এটা জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়।'
জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন। ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন দানা বাঁধে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশের সর্বত্র।
রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলন যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান ক্ষত চোখে পড়ার মতো। একাডেমিক কার্যক্রমের নানা ত্রুটির সাথে আবাসিক হলগুলোর অবস্থাও নাজেহাল হয়ে আছে। বিগত সরকারের সময় এখানে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির কালো ছায়া যেমন ছিল, তেমনি গেস্টরুম, গণরুমের মতো ঘৃণ্য কালচারও এখানে যেন স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও মেধার মূল্যায়নের চেয়ে গুরুত্ব পেত রাজনৈতিক পরিচয়। এছাড়া নানা বৈষম্য তো ছিলই। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনও হয় অনিয়মিত। আর হলগুলোর খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তো বহুদিনের।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের ব্যাপারে সখড়া প্রস্তাব তুলে ধরেন।