আজ (শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, ‘আমি প্রথমে ছাত্র জনতার বিপ্লবকে সম্মান জানিয়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে প্রথম কাজ শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্লাসে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আগামী রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘নোবিপ্রবিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমানো, শিক্ষা ও গবেষণা বাড়ানোর জন্য সবাই মিলে একযোগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে নোবিপ্রবিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
অতীতের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অতীতে কি হয়েছে সেটি নিয়ে না ভেবে আমি বর্তমানকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে চাই। আমি আশ্বস্ত করতে চাই- আগামীতে কোন নিয়োগ কার্যক্রমে স্বজনপ্রীতি হবেনা। যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ যাবতীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হবে।’
এ সময় নোবিপ্রবির সাবেক প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসাইন, প্রক্টর এ.এফ.এম আরিফুর রহমান, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর সরকার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক নিজাম উদ্দিন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।