আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নতুন সরকার শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে, শ্রমিকদের সকল ন্যায্য দাবি আদায়ে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ সকলে মিলে কাজ করে দেশের উৎকর্ষ সাধন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
আইএলওর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, সময়োপযোগী শ্রম আইন প্রণয়ন, বিদ্যমান শ্রম আইনের সংস্কার, শিশু-শ্রম রোহিতকরণ, কর্মের সুপরিবেশ সৃষ্টিসহ শ্রম সংশ্লিষ্ট নানান বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রম সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। আমাদের আইন প্রয়োগের বাস্তবায়নে বেশি কাজ করতে হবে। কর্মের সুপরিবেশ সৃষ্টি নিশ্চিত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে হতাহতরা সঠিকভাবে ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে অভিযোগ করেছে, এই অভিযোগ আমলে নিয়ে আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। আমরা হতাহতদের পুনর্বাসন নিয়েও কাজ করার চিন্তা করছি।’
এ সময় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর তমো পৌটিইনেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বাংলাদেশ শ্রমিক, সরকার এবং মালিকপক্ষদের নিয়ে কাজ করছে। অইএলও শুধু শ্রম বিষয়ক ইস্যুতে কাজ করে না আইএলও শ্রমিকদের আইনি সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক মান উন্নয়নেও কাজ করছে।’
আইএলও, বিচারিক কর্মকাণ্ডের মানোন্নয়ন এবং সকলের কর্মে প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি অবহিত করেন।