বিদেশে এখন
0

গ্রিসের জলপ্রপাতে ১শ' টনেরও বেশি মরা মাছ

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বিলুপ্তির পথে গ্রিসের মিঠা পানির মাছ। গেল বৃহস্পতিবার বন্দর নগরী ভলোসের একটি জলপ্রপাত থেকে একশো টনেরও বেশি মরা মাছ উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পচা মাছের দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করায় ক্ষতির মুখে পর্যটনখাতও। দর্শণার্থীদের ধরে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে হোটেল মালিকদের। পরিবেশবিদরা বলছেন, বন্যার কারণে মিঠা পানির মাছ সমুদ্রের পানির সংস্পর্শে আসায় এই মড়ক লেগেছে।

পাখির চোখে মধ্য গ্রিসের বন্দর নগরী ভলোস। রাস্তার দু'পাশে বইছে সরু এক রুপালি নদী। এই অপূর্ব দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে গিয়ে হঠাৎ দেখা গেল সে নদীর পানিতে ভেসে আছে হাজার হাজার মরা মাছ।

গেল বৃহস্পতিবার এমনই এক দৃশ্য দেখেছে গ্রিসের মানুষ। ভলোসের এক জলপ্রপাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০০ টন পচা মাছ। রাজধানী এথেন্সের উত্তরে অবস্থিত উপসাগর ও বেশ কয়েকটি নদীর প্রায় ৩২০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে ভেসে ছিল স্বাদু পানির এই মরা মাছ। পরিবেশবিদরা বলছেন, ২০২৩ এর বন্যায় নদীর পানি বেড়ে যাওয়া এবং এর কয়েক মাস পরে তীব্র খরা দেখা দেয়ায় মাছগুলো মরে যাচ্ছে।

গ্রিস সরকারের উদ্যোগে শুক্রবার, একদল কর্মী জালের সাহায্যে এই মরা মাছ টেনে ডাঙ্গায় তোলেন। মাটি খননকারী এক্সকেভেটরের সাহায্যে ডাঙ্গা থেকে মাছ সরিয়ে নেয়া হয় ট্রাকে।

ডয়চে ভেলে বিশেষ প্রতিনিধি সোফিয়া ক্লেফটাকি বলেন, ‘সমস্যাটির মূল কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। ভলোসের উপকূল থেকে পচা মাছ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে মরা মাছের গন্ধে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েন স্থানীয়রা। পর্যটন নগরীর সুনাম ধরে রাখতে স্থানীয় রেঁস্তোরা ও হোটেলের মালিকরাও যোগ দেন মাছ সরানোর কাজে। ভলো চেম্বার অব কমার্সের তথ্য বলছে, গেল ৩ দিনে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যবসায়িক লেনদেন কমেছে ৮০ শতাংশ হারে।

স্থানীয়রা বলছেন, সাইক্লোন ড্যানিয়েলের প্রভাবে নদীবিধৌত এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ায় মিঠা পানির মাছ ভেসে আসে প্যাগাসেটিক গালফের নোনা পানিতে। আর লবণের সংস্পর্ষে আসার সাথে সাথে মরে যায় মাছগুলো। তাদের ধারণা, ১৯৬০ সালে পানি নিষ্কাশনের সময় মধ্য গ্রিসের কারলা লেইক থেকে এই মাছগুলো উপকূলবর্তী নানা জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

tech