গুজরাটের সৌরাষ্ট্র-কুচ অঞ্চলের ওপরে তৈরি হয়েছে ডিপ ডিপ্রেশন। বর্তমানে এটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ধাবিত হচ্ছে আরব সাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে।
স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, আজ (শুক্রবার, ৩০ আগস্ট) নাগাদ এটি আরও শক্তি সঞ্চয় পরিণত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। আর সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে আসনা। যা আঘাত হানতে পারে গুজরাট ও সিন্ধু উপকূলে।
সাগরে এই নিম্নচাপের কারণে ভারতের গুজরাটে গেল কয়েকদিন ধরেই অব্যাহত রয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত, দেখা দিয়েছে বন্যা। ডুবে গেছে বেশিরভাগ শহরের রাস্তাঘাট, তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি। ফলে, ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গুজরাটের খাম্বালিয়াতে গেল ৫ দিনে সর্বোচ্চ ৯শ' ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরইমধ্যে উপকূল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। এছাড়াও, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভদোদারা, জামনগর, দ্বারকা, রাজকোট আর কুচেও দেয়া হচ্ছে সহায়তা।
এদিকে, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মাঝামাঝি আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় আসনা। ফলে, গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের করাচিতেও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাবে। সেইসঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও করছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও, ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে গুজরাট উপকূলেই।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগস্টে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির বিষয়টি বিরল। গেলো ৮০ বছরে এমন বিরল ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির চতুর্থ নজির এটি। সবশেষ ১৯৭৬ সালের আগস্টে আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল এমন সাইক্লোন। এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় ভূপৃষ্ঠে তৈরি হয়ে সাইক্লোনে পরিণত হয় এবং সাগরে গিয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলে আঘাত হানে।