আদালতে এসে স্বামীর স্মৃতি মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কারণ স্বামী মিজানুর রহমানের মুদি দোকানের আয়ে চলা ঘর-সংসার এখন ছন্নছাড়া। নিঃস্ব পুরো পরিবার।
নিহত মিজানুরের স্ত্রী মারিয়া আফরিন বলেন, 'বাবা ডাকার আগেই কেন আমার সন্তান পিতৃহারা হবে। সবার কাছে এই বিচার চাই আর সুস্থ সমাজ চাই। পরেরবার যে সরকার আসবে সে যেন আর স্বৈরাচার না হতে পারে।'
আপাদমস্তক সাংসারিক মারিয়া জানেনা কিভাবে চাইতে হয় স্বামী হত্যার বিচার। তাইতো বৃদ্ধ শ্বশুরকে সঙ্গে করেই আদালতে প্রথমবার আসা তার। আন্দোলনে খিলগাঁও এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় সিএমএম আদালতে নিহত মিজানুরের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাসহ ৩১জনের বিরুদ্ধে।
নিহত মিজানুরের বাবা মো. কামাল হোসেন বলেন, 'আমার একমাত্র নাতি ছাড়া আর কেউ নাই। আমরা একটা অবিবাহিত মেয়ে আছে। আমি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।'
ভুক্তভোগীর আইনজীবী মো. আবু সায়েম বলেন, 'মামলা তো করেছি কোর্টে সেটা বিজ্ঞ আদালত বিচার করবে। তবে সবার কাছে আবেদন এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান।'
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিভিন্ন জায়গায় নিহতের ঘটনায় সিএমএম আদালতে বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ৫টি মামলায় আসামি করা হয় ১৩৫ জনকে।
৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একের পর হত্যা মামলা হচ্ছে আদালতে। মামলার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন আসামির নামও।