আজ (শনিবার, ২২ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে জেলার শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ায় অবস্থিত স্পেকট্রা সোলার পার্ক লিমিটেডের ৩৫ মেগাওয়াট বিশিষ্ট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, ‘২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন করা হয়েছিল। এই আইনের মাধ্যমে কোন প্রতিযোগিতা ছাড়াই আগের সরকারের খাতিরের লোককে প্রকল্পগুলো দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে এই বিদ্যুৎ কেনাও হয়েছে। বর্তমানে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে বকেয়া টাকাগুলো আমরা দিতে পারছি না।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আগে যেমন কোন রকম বিবেচনা না করে বিদ্যুৎ বা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হতো। কিন্তু আপনারা জানেন এই সরকার জনপ্রত্যাশার সরকার। তাই বিবেচনা না করে আমরা বিদ্যুৎ বা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করবো না।’
দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই ২০১০ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের ভবিষ্যত প্রয়োগ বন্ধ করে দিয়েছি উল্লেখ করে সামনে প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর খাতে আর কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বেশি জোড় দেওয়া হবে। কারণ এর সুবিধাতো আপনারা বুঝতেই পারছেন একবার এটা স্থাপন করা হলে আর কোন জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। সূর্যের আলো থেকেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।’
প্রতিবছর এই খাতে ৪২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ইতিপূর্বে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় এই সমস্যা হয়েছে। কম দামে বিদ্যুৎ না কেনা পর্যন্ত আমাদের সবাই ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। ১৬ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি ১৬ দিনেই অপসারণ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছ্বাস, বন্যা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে তখন সেখানকার মানুষ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানুষ মারা যায়। এর জন্য বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্যার পানি যখন নেমে যাবে তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।’
এসময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।