যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় অনবরত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) একদিনেই উপত্যকাটিতে ইসরাইলি নৃশংসতায় নতুন করে আরও অন্তত অর্ধশত ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। শরণার্থী শিবিরগুলোতেও অব্যাহত রয়েছে আগ্রাসন। জাতিসংঘ বলছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে হামলা করায় গাজায় এখন ৯০ শতাংশ মানুষই বাস্তুচ্যুত।
এরপরও যুদ্ধবিরতির ইস্যুতে নেই দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি। ওয়াশিংটন বলছে, চুক্তি কার্যকরে মধ্যস্থতাকারীদের খুব একটা সহযোগিতা করছে না হামাস কিংবা ইসরাইল কোন পক্ষই। উল্টো ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে বেড়েছে হামলার তীব্রতা। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়েছেন, গাজার নেতজারিম করিডোর আর মিশর গাজা সীমান্ত থেকে কোন অবস্থাতেই সেনা প্রত্যাহার করা হবে না। হামাসকে ৭ অক্টোবরের মতো আরেকবার ইসরাইলে হামলার সুযোগ দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। নেতানিয়াহু আরও বলেন, এই স্থানগুলো কোন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নয়, ইসরাইলই নিয়ন্ত্রণ করবে।
এদিকে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে লোহিত সাগর আর গাল্ফ অব এডেনে আবারও বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। লোহিত সাগর আর গাল্ফ অব এডেনের সুনিওন তেলবাহী ট্যাঙ্কার এবং এস ডব্লিউ নর্থ উইন্ড আই জাহাজে হামলা চালানোর দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। সুনিওন ট্যাঙ্কারে ইয়েমেনের বন্দর নগরী হুদেইদা থেকে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। গ্রিক পতাকাবাহী এই তেলের ট্যাঙ্কারে ছিলো দেড় লাখ টন জ্বালানি তেল। আরেকটি জাহাজের বিষয়ে হুথিরা বলছেন, জাহাজটি ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনা করছে।
গাজায় এতো আগ্রাসনের পরও ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর ঘাটিঁতে পরিণত হবে অধিকৃত গাজা ও পশ্চিম তীর।