দেশে এখন
0

‘মোদিকে দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেছে আ.লীগ’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে যত হত্যা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। সমন্বয়করা বলেন, মোদিকে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের কথা বলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ। এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। এসময় আওয়ামী লীগ ছাড়াও ১৪ দলের বাকি শরিকদেরও বিচারের দাবি করেন তারা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। বদলে যায় প্রেক্ষাপট। এবার শোক দিবসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর দেখা মেলেনি কোন আওয়ামী লীগ নেতার। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে শুক্রাবাদ মোড় থেকে ৩২ নম্বর ও মেট্রো শপিং মলের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা।

শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'ছাত্রলীগ যেন দেশে বিশৃঙ্খলা না করতে পারে এজন্য আমরা আজ রাস্তায়।'

আরেকজন বলেন, 'ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার তার অপরাজনীতির জায়গা করে রেখেছিল। এখানে বসেই তারা স্বৈরাশাসকের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহার করতেছিল।'

এদিকে, চলমান রেজিস্ট্যান্স উইক-এর তৃতীয় দিনে সকাল থেকেই শাহবাগে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে চলে প্রতিবাদী গান-কবিতা আর পথনাটক।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে যত হত্যা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে তার বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। জানান, ১৫ আগস্ট ঘিরে কোন প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা হলে ছাত্র জনতা মিলে তা প্রতিহত করা হবে।

সমন্বয়করা বলেন, মোদিকে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের কথা বলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের পাশে কোন জনসমর্থন নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন,  'শেখ হাসিনা কত বড় খুনি ছিল তা বিশ্বকে জানানোর জন্য আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আমরা এর বিচার করবো।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আপনাদের নৌকা অনেক আগেই ফুটা হয়ে গিয়েছে। আপনাদের বৈঠা দিয়ে আর নৌকা চলবে না। বাহিরে থেকে মোদির বৈঠা দিয়ে নৌকা চালানোর চেষ্টা করবেন না।'

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ প্রায় সব ইউনিটের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। স্লোগানে, মিছিলে উঠে আসে হত্যা ও নির্যাতনের বিচারের দাবি।

আওয়ামী লীগ ছাড়াও ১৪ দলের বাকি শরিকদেরও বিচারের দাবিও করেন অনেকে।

ছাত্রদলের একজন বলেন, 'সামান্য একটা ফেসবুকের পোস্টের কারণে জেলে নেয়া হয়েছে এবং অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি অনেকবার কিন্তু সুবিচার পাইনি। এখন এই সরকারের কাছে আশাবাদি।'

দ্রুত বিচার করাসহ সুবিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুধুমাত্র ছাত্রদলের সারাদেশে ৩১ জন নেতাকর্মী এই খুনি হাসিনার সরকার কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।'

অন্তর্বর্তী সরকারের উপর আস্থা রেখে তারা বলেন, আর কোন মিথ্যা মামলায় যাতে কেউ হয়রানি না হয়।

tech