গেলো কয়েকদিন আগেও শাহবাগের ব্যস্ততম মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ছিল না কোনো পুলিশ। কর্মবিরতির পর সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম।
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি মোড়েই ৮ থেকে ১০ জন ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে ফলে রাস্তায় একদিকে যেমন বেড়েছে গণপরিবহনের সংখ্যা তেমনি জনমনে ফিরেছে স্বস্তি, কেটেছে রাস্তাঘাট চলাচলে নিরাপত্তাহীনতার ভয়।
একজন যাত্রী বলেন, 'রাস্তায় শিক্ষার্থীদের চেয়ে ট্রাফিক তাকলে ভালো। কারণ তাদের সিগন্যালগুলো ভালোভাবে বোঝা যায়। আমরা চাই প্রশাসন আরও দ্রুত এগিয়ে এসে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করুক। তারা তাদের নিয়মকানুন ঠিকভাবে পালন করলে আমাদের দেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাবে।'
পুলিশের পাশাপাশি আজ বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে আনসার বিজিবি ছাড়াও রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্টসহ বেশ কিছু সংস্থা। এসব সংস্থা জানান যতদিন পর্যন্ত পুরোদমে ট্রাফিক কার্যক্রম শুরু না হবে ততদিন ট্রাফিক পুলিশের সাথে রাস্তায় থাকবেন তারা।
রেপ ক্রিসেনটের একজন বলেন, 'যতক্ষণ পর্যন্ত রাস্তার প্রশসন ব্যবস্থা বা প্রোটেকশন নিশ্চিত না করতে না পারছি ততক্ষন পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো।'
সাইন্সল্যাব মোড়ে এসব সংস্থার সাথে আজও ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর কতদিন তারা রাস্তায় থাকবেন এমন প্রশ্নে তারা বলেন আর এক বা দুইদিন পর তারা রাস্তা ছেড়ে ফিরে যাবেন পড়ার টেবিলে।
ট্রাফিকে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান শিক্ষার্থীরা এখনও কাজ করতে চাইলে তারা তাদের স্বাগত জানাবে। তবে, এখন শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরা উচিত বলে মনে করেন তারা।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আশিক আহমেদ বলেন, 'আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি। সবাই যেন স্বস্তি নিয়ে চলে আসে। সব কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলবে।'
এই সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাফিক ব্যবস্থা পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে মনে করছেন ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।