এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতকে বিশৃঙ্খল ও অস্থিতিশীল করার একটা অপচেষ্টা বলে মনে করছে নগদ। চলমান এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৯ সালে যাত্রা করে নগদ। এরপর ডিজিটাল ই-কেওয়াইসি চালুর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি সহজ করে নগদ। বর্তমানে দেশের প্রায় সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। এরপর টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠাগুলোর সাথে চুক্তি করে *১৬৭# ডায়াল করে বাটন ফোন থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু করে নগদ। এর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী প্রথমবারের মতো প্রথাগত আর্থিক লেনদেনের আওতায় আসে।
পাশাপাশি ক্যাশআউট খরচ কমানো, ইউটিলিটি বিল প্রদানের খরচ তুলে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিয়ে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে নগদ। ফলে একাধারে বাজার দখলকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা কমে যায়; অন্যদিকে দেশের মানুষের জন্য সত্যিকারের ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে এমএফএস।
এমএফএস আনার পর দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে কাজ শুরু করেছে নগদ। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পেয়েছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। সফলভাবে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি কার্যকরে বেশ কিছু তথ্যপ্রযুক্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নগদের সঙ্গে কাজ করছে।
সেই মুহূর্তে একটি মহল নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নগদের দাবি, বাজারে মনোপলি ভেঙে দিয়ে মানুষকে অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের সুবিধা করে দেয়ায় নগদের বিরুদ্ধে অনেকেই ঈর্ষাপরায়ণ মনোভাব প্রকাশ করছে। এছাড়াও নামে-বেনামে ফেসবুক পেজ খুলে সেগুলো থেকে ভুয়া-অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি অনেক পেজ থেকে নগদের বিরুদ্ধে করা অপপ্রচার ‘বুস্ট’ করা হচ্ছে।
নগদ জানায়, মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে একটি পক্ষ প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে অপপ্রচার শুরু করেছে। নগদের বিপক্ষে লিফলেট বিতরণ, প্রচার-প্রচারণার জিনিসপত্র নষ্ট করে ফেলা, উদ্যোক্তাদের আক্রমণ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা নিয়ে নগদ আইনের আশ্রয়ও নিয়েছে একাধিকবার।
বিজ্ঞপ্তিতে নগদ জানায়, চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে নগদ সম্পর্কে নানা ধরনের অন্যায়, মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। নগদ অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে এসব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সাথে এসব কর্মকাণ্ডের ঘোরতর নিন্দা করছে। নগদ কর্তৃপক্ষ বলতে চায় যে, যারা এসব অনৈতিক ও মিথ্যা তথ্য নিয়ে অপ্রচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।— বিজ্ঞপ্তি