জার্মানি থেকে ব্রিটেন, ভারত থেকে কাতার- বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে। প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগ, ছাত্র-জনতার দখলে গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অন্তর্বর্তী সরকার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা- চলমান ঘটনা প্রবাহের সবশেষ তথ্য নিয়ে নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রচার করছে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো।
গতকাল (৫ আগস্ট) সকাল থেকে 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি ও সরকারের পতন নিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় সবশেষ খবর প্রচার করতে থাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। কী হচ্ছে বাংলাদেশে? কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ? এসব প্রশ্ন তুলে সংবাদ প্রকাশ করে বিবিসি।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর তার চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় বা কোন দেশে? এ নিয়ে সবশেষ খবর প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, ভারতের দিল্লিতে শেখ হাসিনাকে বহনকারী এয়ারক্রাফট অবতরণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া, পিটিআই'র সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ভারত থেকে লন্ডনে যেতে পারেন শেখ হাসিনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে আল জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন, ডয়চে ভেল, নিউ ইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি, ডনসহ প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোর আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। এসব আলোচনায় চলমান আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ভূমিকা, সরকারের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।