সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলায় ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। একই সাথে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় আরো এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, আজ বিকেলে এনায়েতপুর থানায় এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, ‘প্রথমে হাজারখানেক মানুষ দল বেঁধে থানার দিকে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা চলে যায়। পরে কয়েকশ’ মানুষ অতর্কিতে থানায় এসে হামলা চালায়। তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত ১১–১২ জন পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
এছাড়া দিনব্যাপী সংঘর্ষে ফেনী, নরসিংদী, পাবনা, বগুড়াসহ অন্তত ১৫ এর অধিক জেলায় ৭০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এসব জেলায় আহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ।
এর মধ্যে নরসিংদী ও ফেনীতে ৬ জন করে ১২ জন; সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও মাগুরায় ৪ জন করে ১২ জন; কিশোরগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়ায় তিনজন করে ৯ জন; রংপুর, শেরপুর, কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জে দু’জন করে ৮ জন এবং বরিশাল, ভোলা ও জয়পুরহাটে একজন করে আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল রাজধানীসহ সারাদেশ। বিক্ষোভকারী ও প্রতিপক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ক্রমেই পরিস্থিতি অবনতি হয়। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পর ঘটে হতাহতের ঘটনা।