সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব নুর এলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যায় অভ্যস্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জামায়াত-শিবির ও বিএনপি তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা সকলকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছি। দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। যেহেতু পুরো দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে, এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রো রেলের ভাঙচুর করা টোল প্লাজার পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।'
ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, 'সহিংসতাকারীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে টার্গেট করে হামলা করেছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।’
এ সময় রাষ্ট্রদূত হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, 'সাম্প্রতিক এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।'
তিনি বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, 'বিক্ষোভ বা কোনো ক্র্যাকডাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে ইতালিয়ান পুলিশের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইতালির পুলিশ ধাপে ধাপে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে চায়।'
শেখ হাসিনা প্রস্তাবটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, 'আগামী দিনে এ বিষয়ে আরো আলোচনা অব্যাহত থাকবে।'
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।