মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ব্রিটেন

গাজায় আগ্রাসী অভিযানের জেরে ইসরাইলের উপর থেকে সহায়তার হাত সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরোধিতা প্রত্যাহার করেছে ব্রিটেনের নতুন সরকার। আভাস মিলছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও।

হামাসকে নির্মূলের নামে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসী হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে শিশুসহ অসংখ্য নিরীহ ফিলিস্তিনির। তবুও ইসরাইলকে অন্ধের মতো সহায়তা দিয়ে আসছে পশ্চিমা বিশ্বের মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। তবে ব্রিটেনের ক্ষমতার মসনদ পেতেই কনজারভেটিভ পার্টির আমলের নীতিতে কাটছাঁট শুরু করেছে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার প্রশাসনের একের পর সিদ্ধান্তে নেতানিয়াহু প্রশাসন যে বেকায়দায় পড়তে যাচ্ছে তার আভাস মিলছে।

এবার গাজায় গণহত্যার দায়ে করা মামলায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি'র গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরোধিতা প্রত্যাহার করলো ব্রিটেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর কারিম খান যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করছেন, সেটির বিচারিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হবে না। এতে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির একটি প্রধান বাধা দূর হলো।

এর আগে নতুন সরকার গঠন করেই ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘকে দেয়া জরুরি অর্থ সহায়তা পুনরায় সচল করে ব্রিটিশ সরকার। যা এক অভিযোগের ভিত্তিতে বন্ধ রেখেছিল ঋষি সুনাক প্রশাসন। সবশেষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুতে কোনো চ্যালেঞ্জ না করে ইসরাইলের প্রতি কঠোর বার্তা দিলো ব্রিটেন।

কারণ ইসরাইল ও তাদের আরেক মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সনদ স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তাই তাদের আপত্তি বজায় রাখতে ব্রিটিশ সরকারের ওপর একপ্রকার চাপ দিয়ে আসছিলো। কিন্তু এতে পাত্তা দেয়নি কিয়ার স্টারমার প্রশাসন।

এখানেই শেষ না, ব্রিটেন ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে ইঙ্গিতও মিলছে। তবে নিজেদের অর্থনীতির দিক বিবেচনায় মরণাস্ত্র বিক্রি পুরোপুরি স্থগিত করবে না বলেও মনে করা হচ্ছে।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে গত সপ্তাহে একটি পরামর্শমূলক মতামত জারি করে বলেছে, ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইসরাইলি দখল বেআইনি এবং এটা যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা উচিত। তাই ইসরাইলের অবৈধ কার্যকলাপে সহায়তা করে এমন বাণিজ্য বা বিনিয়োগ সম্পর্কে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যুক্তরাজ্যসহ আইসিজের সদস্য দেশগুলোর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এর ফলে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি নতুন করে আহ্বানও জানায় আইসিজে।