ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার কারণে প্যারিসের সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অন্যতম বড় স্পোর্টস ইভেন্ট অলিম্পিক ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলেও এ ঘটনা হামলার ঘটলো। যেখানে আগে থেকে দশ হাজারের বেশি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেলওয়ে অপারেটর এসএনসিএফ বলছে, হামলায় উত্তরে লিলি, পশ্চিমে বোর্দো এবং পূর্বে স্ট্রাসবার্গের মতো শহরগুলোর সাথে প্যারিসকে সংযোগকারী লাইনের সংকেত বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে প্যারিস-মারসেই লাইনে আরেকটি হামলা চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এসএনসিএফের পক্ষ থেকে যাত্রীদের পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত যাত্রা স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সিরিজ হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই কর্তৃপক্ষ মেরামত কাজ শুরু করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
তবে রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একজন জানান, এর প্রভাবে ট্রেন চলাচল এক সপ্তাহের জন্য বাধাগ্রস্ত হবে। অন্য জায়গা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোকেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত হামলার দায়ভার নিয়ে আনুষ্ঠানিক কারো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এমনকি এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা আছে কীনা সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গ্যারে ডু নর্ডেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্যারিসের পরিবহন মন্ত্রী প্যাট্রিস ভারগ্রিয়েট বলেন, ‘যা কিছু ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে একে সন্ত্রাসী হামলা বলা ছাড়া উপায় নেই।’
এসএনসিএফ জানায়, আটলান্টিক, নর্দার্ন এবং ইস্টার্ন হাই-স্পিড লাইনের সিগন্যালিং স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এসএনসিএফের প্রধান জিন-পিয়েরে ফারান্ডু বলেন, ‘অলিম্পিক আসরকে ঘিরে ছুটি শুরুর এক সপ্তাহ আগে হামলার ঘটনায় প্রায় ৮ লাখের বেশি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক মেরামত ও রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক হাজার রেলকর্মী কাজ শুরু করেছে।’