ঢাকার শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে ইউনেক্স-সানরাইস ব্যাডমিন্টনের আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ ও সিরিজ চলছে। যেখানে অংশ নিচ্ছে দেশি-বিদেশি ২৩৩ জন শাটলার।
এত বড় আয়োজন হলেও টুর্নামেন্টটি ঘিরে নেই কোনো উন্মাদনা। টিকিট ছাড়াই খেলা দেখার সুযোগ থাকলেও গ্যালারিতে দর্শক ছিলো হাতে গোণা। খেলা দেখতে এসে দর্শকরা জানিয়েছেন নিজ উদ্যোগেই মাঠে এসেছেন তারা।
দর্শকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ব্যাটমিন্টনের প্রতি একটা অ্যাট্রাকশন ছিল। নিজের উদ্যোগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে আমি জানলাম খেলা হচ্ছে। তারপর আসলাম।’
অন্য একজন বলেন, ‘কোনো টিকিট লাগেনি। শুধু জিজ্ঞেস করলো, আপনারা কি দর্শক কি না। আমি বললাম হ্যাঁ, দর্শক। তখন গেট দেখিয়ে দিলো যে, আপনি এ গেট দিয়ে ঢুকতে পারেন।’
শাটলাররাও জানালেন, মাঠের দর্শকরা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। বিপক্ষ দলকে চাপে ফেলতে সাহায্য করে ও জয়েও ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ শাটলার আল আমিন জুমার বলেন, ‘দর্শকদের ব্যাপারটা গেমের মধ্যে অনেক কাজ করে। অনেকসময় মোমেন্টাম চেঞ্জ হয়ে যায় দর্শকের কারণে। কারণ যেহেতু নিজের দেশ, নিজের দেশের মানুষ যখন চেয়ার আপ করে তখন অবশ্যই খেলার মানটা আরও ওপরের দিকে উঠতে থাকে।’
দর্শক শূন্যতার বিষয়টিকে অবশ্য ভিন্নভাবে দেখছেন আয়োজকরা। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ঢিলেঢালা নিরাপত্তার প্রশ্নেও দায় দিলেন অভিভাবক সংস্থাকে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জোবায়েদুর রহমান রানা বলেন, ‘আমাদের এ স্পোর্টসটা ডিপেন্ড করে চারটা পিলারের ওপর। একটা হলো মেইন স্টেক হোল্ডার হলো খেলোয়াড়রা, তারপর স্পোর্টস কর্মকর্তারা, তারপর আমাদের স্পন্সর, তারপর আমাদের মিডিয়া। এ চারটার ওপরই হলো এটার ভিত্তি। আমরা আশা করি, আপনারা প্রচার একটু বেশি করলে সবাই আসবে।’
দেশের প্রত্যেকটি খেলা এগিয়ে যাচ্ছে দিনকেদিন। ব্যাডমিন্টনেও ধরা দিচ্ছে সাফল্য। তবে প্রচার-প্রচারণা ও ফেডারেশনের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কম থাকায় ধিরে আগাচ্ছে উন্নতির গ্রাফ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ ও খেলোয়াড়দের তদারকি থেকে শুরু করে সুযোগ-সুবিধা বাড়লে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে দেশের শাটলাররাও নিয়মিত সফলতা এনে দেবে।





