যে করেই হোক টানা দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দখল ধরে রাখতে চায় ডেমোক্রেটরা। অন্যদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবারও হোয়াইট হাউসের অধিপতি করতে মরিয়া হয়ে আছে রিপাবলিকানরাও। সব মিলিয়ে নির্বাচনি আবহে উত্তপ্ত হয়েছে মার্কিন রাজনীতি।
প্রেসিডেন্ট নিবার্চন ঘিরে এই উত্তাপের আঁচ লাগতে শুরু করেছে প্রতিবেশি মেক্সিকোতেও। নির্বাচন ঘনিয়ে আসতে থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে দেশটির সীমান্তে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে। কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে থাকা ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে মেক্সিকোতে থাকা আশ্রয় প্রত্যাশী ও সীমান্তের ব্যবসায়ীদের জন্য তা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
একজন অভিবাসন প্রত্যাশী বলেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো অভিবাসী চান না, বিষয়টি উদ্বেগজনক। এমনকি কোনো পদক্ষেপও নিতে চান না, যাতে অভিবাসীরা যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন। আমরা উদ্বিগ্ন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করবেন। তিনি ক্ষমতায় আসলে সীমান্ত বন্ধ করে দেবেন এবং আশ্রয় আবেদন বাতিল করে দেবেন। অথচ আমরা এখানে আশ্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছি। তাই আমরা খুব চিন্তিত।'
সীমান্ত লাগোয়া মেক্সিকোর ব্যবসায়ীরা মনে করছে, ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করলে মন্দার ধাক্কা লাগবে তাদের ব্যবসাতেও। সীমান্ত দিয়ে পণ্য আনা নেয়াও কঠিন হয়ে ওঠবে। এতে সামগ্রিকভাবে মেক্সিকোর অর্থনীতির ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
মেক্সিকোর ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি থর সালায়ন্দিয়া বলেন, 'ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সবচেয়ে খারাপ বিষয়টি ছিল, তিনি সীমান্ত এবং মেক্সিকোর সাথে খুব আক্রমণাত্মক আচরণ করেছেন। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তিনি আরও প্রাচীর নির্মাণের কথা বলেছিলেন। এবার ক্ষমতায় এলে মেক্সিকো কেন্দ্রিক তাঁর পূর্বের কঠোর নীতিগুলো আবারও চালু করবেন। যা আমাদের জন্য এক প্রকার হুমকি।'
এদিকে মেক্সিকোতে চীনা বিনিয়োগের বিষয়ে গত সপ্তাহে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, মেক্সিকো ও চীনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তার দেশের চাকরির বাজার ও ব্যবসায়ীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরপর থেকে আরও বেশি উদ্বেগের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে মেক্সিকো।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সীমান্ত এক হাজার ৯০০ মাইলের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে এই সীমান্ত দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী অনুপ্রবেশ করেছে। এর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে দৈনিক অনুপ্রবেশের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার। গত কয়েক মাসে সেই সংখ্যা কমলেও পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি বাইডেন প্রশাসন।