আজকের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি সরকারের প্রতি দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়ার এ আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী।
সংগঠনটি জানায়, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।
এতে আরও বলা হয়, সারাদেশে হাজারের ওপর শিক্ষার্থী আহত এবং ৬ জন নিহত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোর করে বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।
এতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি করা হয়েছে।
ভাঙচুর-অগ্নিকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনোভাবেই জড়িত নয় দাবি করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নেবে না। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব যাতে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করা হয়।