ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের ছাত্রসমাজের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোটা বহাল রাখার পক্ষে উচ্চ আদালত ২০১৮ সালে জারি করা সরকারের পরিপত্র বাতিল করে। সরকারের পক্ষ থেকে পরিপত্র বহাল রাখার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।’
এরপর শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলন শুরু করে। এরই মাঝে কিছু মহল সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।
প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘একটি আন্দোলন ঘিরে অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারানোর বেদনা যে কত কষ্ট, তা আমার চেয়ে আর কেউ বেশি জানে না।’
আইনি প্রক্রিয়ায় কোটা নিয়ে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কোটা সংস্কার নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্যধারণ করতে হবে। উচ্চ আদালত থেকে শিক্ষার্থীরা ন্যায় বিচার পাবেন।’
সংঘর্ষের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসীদের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইলো।’
এসময় হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড ও লুটপাটে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।'