২০২১ থেকে ২০২৪ এই তিন বছরে স্বপ্নীল বিশ্বকাপ, দুইটা কোপা থেকে মহাদেশিয় ফিনালিসিমা। সব, সব ট্রফি এখন আলবিসেলেস্তেদের শো কেসে। শুধু কি তাই। সর্বোচ্চ ১৬ বার কোপা আমেরিকার শিরোপা এখন মেসিদের রেকর্ডে। তাই শিরোপা জয়ের উদযাপনে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠলো আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। নেচে গেয়ে মাতিয়ে রাখলো মায়ামির স্টেডিয়ামকে।
যদিও, ম্যাচের শুরুর দিকে নিষ্প্রভ ছিল মেসির আর্জেন্টিনা। তবে, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খেলার ধার বাড়িয়েছে স্ক্যালোনি শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধ্বে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে একাধিক সুযোগ তৈরি করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ফিনিশিং দুর্বলতায় লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। গোটা ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের জন্য সবচেয়ে সহজ সুযোগ ছিল ৪৭তম মিনিটে।
কিছুক্ষণ পরই যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে হার্ড রক স্টেডিয়ামে। ঈর্ষা হলো ইনজুরির। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মেসি। মায়ামির গ্যালারি থেকে রোজারিও সবাই যেন স্তদ্ধ হয়ে রইলো। মেসি ইনজুরির কারণে ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না। মানতে কষ্ট হচ্ছিল সবার। ফুটবল ধরনীর সব ট্রফি জেতা লিওনেল মেসি কোপা আমেরিকার ফাইনালের মঞ্চে আর নামতে পারবেন না। এটা মেনে নিতে মেসিরও কষ্ট হয়েছে। তাই তো, ডাগআউটে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
তবে, মেসির চোখের পানির উত্তম প্রতিদানটাই দিয়েছেন তার সতীর্থরা। নির্ধারিত সময়ে গোলবঞ্চিত থাকলেও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের মধ্যে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে স্ক্যালোনির দল। টুর্নামেন্টজুড়ে রাজত্ব করা লাউতারো মার্টিনেজই আকাশী নীল ভক্তদের আনন্দে ভাসিয়েছেন। আসরে লাউতারোর এটি পঞ্চম গোল।
জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার গোল্ডেন বুট জয়ী মার্টিনেজের গোলের পরই আর্জেন্টিনার জয়ের রেখাটা পরিষ্কার হতে থাকে। গোল হজম করে তা আর শোধ দিতে পারেনি কলম্বিয়ানরা।
তাই আরেকটা ট্রফি, আরেকটা বিজয়ের গল্প এবং বিশেষ করে মেসির প্রিয় বন্ধু ডি মারিয়ার বিদায়টাকে ত্রিমুকুট উপহার দিয়ে স্মরণীয় করে রাখে তার সতীর্থরা।