গেলো বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। সেইসঙ্গে ২০২২ সালের বন্যা আর দশকের পর দশক ধরে চলা অব্যবস্থাপনার মাশুল দিতে হয়েছে দেশের জনগণকে। শেষ সময়ে বন্ধুপ্রতীম দেশ আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ পেয়ে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে দেশের অর্থনীতি।
তবে এখন পর্যন্ত উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর ঋণের বোঝায় বিপর্যস্ত দেশের সাধারণ মানুষ। তিন বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিটি এখনও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন বাকি। এই ঋণ সহায়তা পাক সরকার কাজে লাগাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে, পাশাপাশি শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে।
মাসের পর মাস ইসলামাবাদকে ধর্ণা দিতে হয়েছে আইএমএফের দরজায় এই ঋণের জন্য। ২৪ কোটির জনসংখ্যার দেশটিতে ২০২২ সালে কর রিটার্ন দিয়েছে মাত্র ৫২ লাখ মানুষ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার কর আহরণ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে পাক সরকার, যা গেলো বছরের কর রাজস্বের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
আসছে বছরে বাজেট ঘাটতি ৫.৯ শতাংশ থেকে দেড় শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পাক সরকারের। কিন্তু সরকারি খাতে ঋণ এখনও আছে ২৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ২০২৪ সালে সরকারি আয়ের অর্ধেকই গিলে খাবে এই ঋণ।