ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, 'ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫০টি ব্যানারের বাস যাতায়াত করে। অনেক বাসের ফিটনেস নেই। অনেক বাসে রোড পারমিট নেই। আবার এক রুটের বাস অন্যরুটে যাতায়াত করে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে সার্বিক অপারেশন চালানো হচ্ছে।'
তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক মামলা, রেকার এবং আটকসহ মোট ২৯১টি বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩১টি বাস ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আটক আছে।
মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম আরও বলেন, 'ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা সীমিত হওয়ায় আপাতত কোনো ফিটনেসবিহীন বাস আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন আবার মামলায় যেতে হবে। অনেক বড় পরিসরের ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকলে ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে ডাম্পিং অ্যাকশান নেয়া সম্ভব। কারণ, রাস্তায় যানবাহনের প্রেসার থাকাকালীন রাস্তার সাইডে বাস থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার ক্ষেত্রে যানজট আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রাস্তায় যখন প্রেসার থাকে না, তখনই বাস এর কাগজপত্র চেক করা যায়।'
ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং রাস্তায় ট্রাফিকের চাপ থাকা অবস্থায় গাড়ির কাগজপত্র চেক করার সুযোগ কম থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।
সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও ধোলাইপাড় এর সকল বাস কাউন্টার ম্যানেজারদেরকে ফিটনেস আছে এরকম সকল বাসের তালিকা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানায় তারা।
ফিটনেস ব্যতীত অন্যান্য বাসগুলোর বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে চলমান এই অভিযান ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম এর নেতৃত্বে এডিসি ট্রাফিক ওয়ারী সুলতানা ইশরাত জাহানের টিম পরিচালনা করছে।