পদ্মা সেতু নির্মাণে জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী বা দাতা সংস্থা কেউ পাশে না থাকলেও শুধু দেশের মানুষ ছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'দেশের সম্পদ বিক্রি করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসে না। পদ্মা সেতু শুধু সেতু নয়, এটা বিশ্বে দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।'
সর্বনাশা পদ্মার বুক চিড়ে দাঁড়িয়ে আছে দেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতু। এ পথ ধরে শুধু যান আর রেলের পরিবর্তন নয়, পরিবর্তন হয়েছে দক্ষিণের জনপদের চিত্র। সড়ক, রেল, নদীশাসন, পুনর্বাসন মিলে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনেছে এক অনন্য চোখে।
দীর্ঘ ৯ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুন। সেই উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের সাজ সাজ রব দেখা যায় পদ্মার মাওয়া প্রান্তে। ঠিক ৪টায় বৃষ্টি ভেজা পদ্মার তীরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয় শিল্পীদের নাচ গানের তালে তালে।
কর্মযজ্ঞের পর্দার আড়ালের ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, 'সেতু নির্মাণের নেপথ্য কারিগর ও জমিদাতাদের ধন্যবাদ দিতেই এই সমাপনী আয়োজন। দাতা সংস্থাগুলো মুখ ফিরিয়ে নিলেও দেশের জনগণ পাশে ছিল বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতুকে টাকার অংক দিয়ে মাপলে ভুল হবে এটি বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে বহুগুণ। এই সেতুর কারণে অনেকের খবরদারি করার সুযোগ হারিয়েছে। দেশের সম্পদ বিক্রি করে মানুষের সেবা করতে ক্ষমতায় আসতে হবে তা শেখ মুজিবুরের কন্যা করে না।'
সকল বাঁধা অতিক্রম করে পদ্মার মতো বহমান থাকবে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান।