দেশে এখন
0

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। আজও (বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই) শাহবাগে অবস্থান নিয়ে আগামীকাল (শুক্রবার, ৫ জুলাই) জনসংযোগ, শনিবার (৬ জুলাই) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ-মিছিল এবং রোববার (৭ জুলাই) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় তারা। এদিকে, কোটা পদ্ধতিতে বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আজ আপিল শুনানি হয়নি। এ বিষয়ে রায়ের পুর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত জানাবেন আপিল বিভাগ।

সরকারি চাকরিতে কোটা থাকছে কি না? সেই অপেক্ষায় উচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষা ছিল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে আসে আদালতের হুকুম, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল থাকছে।

প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশেপাশের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ সড়ক অবরোধ করেন। এর মধ্যে নামে ঝুম বৃষ্টি, কিছুক্ষণ পরে আবার রোদ। এসব উপেক্ষা করে রাজপথে অনড় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কবিতা, গান আর স্লোগানে মুখরিত হয় শাহবাগ চত্বর।

আন্দোলনকারীরা দাবি তোলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল রেখে বৈষম্য নিরসনের।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'আজকে রায়ের তারিখ থাকলেও তারা এটা পিছিয়ে ১ সপ্তাহ পর নিয়ে গিয়েছে। মেধাকে উপেক্ষা করে কোটা প্রথা একটা অন্যায়। আমরা এই অন্যায় মানি না। শেষ বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি।'

একইসাথে কোটা পদ্ধতি পরিপূর্ণ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণাও দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সংগঠনটির সদস্য বলেন, 'আগামী শুক্রবার চার দফার ভিত্তিতে অনলাইন ও অফলাইনে আমাদের জনসংযোগ হবে এবং সারাদেশে সমন্বয় করা হবে। শনিবার সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ধর্মঘট করা হবে।'

ঢাকার বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছে।

এসএস