আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়ায় অনুমোদন, আয়ে ১১০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী রপ্তানি কার্যক্রম যুগোপযোগী করতে রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে রপ্তানি আয়ে ১১০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

আজ (সোমবার, ১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদনসহ আরও দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় বাজেট বাস্তবায়নে সব মন্ত্রীকে স্বচ্ছতা ও মনোযোগী হতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তরণ করবে বাংলাদেশ। বিশ্ব-দরবারে যেমন মাথা উঁচু হবে দেশের নাম তেমনই অর্থনৈতিক উন্নয়নেও নজর সরকারের। তবে উত্তরণের পর বিশ্ব বাজারে কিছু সুবিধা হ্রাস পাবে বাংলাদেশের।

হ্রাস পাওয়া সুবিধার মধ্যে শুল্কমুক্ত পণ্যের রপ্তানি থেকে শুরু করে পণ্যের মানের ক্ষেত্রে থাকবে বেশকিছু নীতি। এসব উত্তরণে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বছরের ত্রয়োদশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়ার।

বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব বিষয় নিয়ে ব্রিফ করেন সচিবালয়ে। তিনি বলেন, ‘১৩তম মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ৩টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১১০ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার এই নীতির ফলে এখন থেকে পণ্যের নামের পাশাপাশি ইউনিক কোড ব্যবহার করা হবে।’

বৈঠকে মাদারীপুরের শিবচরে ইন্সটিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এছাড়া পদ্মাসেতুর রক্ষণাবেক্ষণে পদ্মা ব্রিজ অপারেশন ও মেইনটেইনেন্স কোম্পানি নামে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের প্রস্তাবও অনুমোদন দেয় সভা। যার মূলধন ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, ‘শিবচরে ইন্সটিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেটির আইনের খসড়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রস্তাব করা হলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন।’

সভায় বাজেট বাস্তবায়নে সকল মন্ত্রীকে স্বচ্ছতা ও মনোযোগী হতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এসময় সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের নানা দুর্নীতির খবরে অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকল কর্মকর্তা দুর্নীতিগ্রস্ত না। আমরা দুর্নীতি রোধে সচেষ্ট। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকারের তরফ থেকে দুর্নীতিকে কোনো প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না।’

তবে সম্পদের হিসেব জমা দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলেও সেটি এড়িয়ে যান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।