দেশে এখন
3

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টাউন খালের পুনঃখনন শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ভরা বর্ষায়ও পানির দেখা মেলে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া টাউন খালে। দখল-দূষণে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি এখন মৃতপ্রায়। শহরের বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর আবর্জনা ফেলা হয় এখানে। তবে টাউন খালে আবারও প্রাণ ফেরাতে পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে।

পানি নিষ্কাশন ও নৌযান চলাচলের সুবিধায় ব্রিটিশ শাসনামলে খনন করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টাউন খাল। শহরের জগৎ বাজার থেকে গোকর্ণ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ খালটি দুই দিক থেকেই তিতাস নদীতে মিশেছে।

এক সময় টাউন খাল দিয়ে ছোট-বড় নৌযান চলতো, স্রোত ছিল নদীর মতো। গ্রামাঞ্চলের বাজারে পণ্য পরিবহনে নৌ-রুট হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই খাল। তবে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ধীরে ধীরে সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে খালটি। এখন ভরা বর্ষায়ও পানি থাকে না খালে। দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা।

সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে খালের জগৎ বাজার থেকে কাজীপাড়া পর্যন্ত অংশে দুই পাড়ে বসানো হয় সিসি ব্লক। এতে খালের চওড়া কমার পাশাপাশি তৈরি হয় নাব্য সংকট। এছাড়া শহরের বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর বর্জ্য ফেলা হয় টাউন খালে। এতে হুমকিতে খালের জীববৈচিত্র্য।

পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রেখে জলাবদ্ধতা নিরসন ও সেচের সুবিধার্থে টাউন খাল পুনঃখনন কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা চলতি জুন মাসেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে খালটি নদীর সমান খনন না করলে পুরো প্রকল্পটি বিফলে যাবে বলে মত বিশিষ্টজনদের।

তরী বাংলাদেশ'র সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, 'আশা করছি এই খালে পূর্বের ন্যায় নৌকা চলাচল করবে। যদি পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হয় তাহলে মানুষ উপকার হবে। তা না হলে শুধু সরকারের অর্থই ব্যয় হবে।'

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, 'শুষ্ক মৌসুমেও সেচের সুবিধা ও শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনই খাল পুনঃখননের মূল্য উদ্দেশ্যে। তাই স্থানভেদে দেড় থেকে ২ মিটার গভীর ও প্রশস্ততা ৮ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত খনন করা হচ্ছে।'

খালের দু'পাড়ে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, 'অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে মামলাজনিত কারণে কিছু উচ্ছেদ আটকে আছে। মামলাগুলো নিষ্পত্তি হলে আমরা আবার অভিযানে যাবো।'

ইতোমধ্যে একটির প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। খালটি পুনঃখননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর