বড় রান তাড়া করতে নেমে ইংলিশ ব্যাটাররা শুরু থেকেই চড়াও হন আকিল-শেফার্ডদের ওপর। সল্ট বাটলার জুটির ঝড়ো শুরুতে পাওয়ার প্লেতেই ওঠে ৫৪ রান। অবশেষে উইন্ডিজ স্পিনার চেজের ঘূর্ণিতে কাটা পরেন জস বাটলার। ভাঙ্গে ৬৭ রানের জুটি।
উইকেট পরলেও আক্রমণ থামাননি ব্যাটাররা। ৩ এ নামা মঈন আলী আন্দ্রে রাসেলের স্লোয়ারে বাউন্ডারিতে চার্লসের মুঠোবন্দি হন। আউট হবার আগে তিনি ১০ বলে ১৩ রান করেন।
৫৯ বলে যখন ৯৭ রান প্রয়োজন, এমন সমীকরণে মাঠে আসেন জনি বেয়ারস্ট্রো। ফিল সলটকে সঙ্গ দেন সাথে নিজেও হাত খুলে খেলতে থাকেন। সল্ট-জনির টর্নেডোর সামনে দাঁড়াতেই পারেননি কোন উইন্ডিজ বোলার। রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেন তারা। শেষ ৩০ বলে যখন প্রয়োজন ৪০ রান, সে সময় ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩০ রান তুলে ম্যাচ নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন।
বাকি রান তারা হেসেখেলে ১৫ বল হাতে থাকতেই নিয়ে নেন। সল্ট ৪৭ বলে ৮৭ ও বেয়ারস্ট্রো ২৬ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে পাওয়েল বাহিনী। ইংলিশ অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে চড়াও হয়ে খেলেন উইন্ডিজ ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। কুঁচকির ইঞ্জুরিতে মাঠ ছাড়ার আগে খেলেন ১৩ বলে ২৩ রানের ক্যামিও।
তবে এরপর রানের চাকা স্তিমিত হয়ে যায়। মঈন আলীর ঘূর্ণিতে চার্লস-পুরানের পঞ্চাশোর্ধ জুটি ভাঙ্গার পরে মাঠে আসেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। এসেই খেলেন অধিনায়কোচিত ঝড়ো ৩৬ রানের ইনিংস। তবে ১৫ থেকে ১৭ তম ওভারে টানা ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি পুরান-রাসেলরা। তবে শেষ দিকে শেরফ্যান রাদারফোর্ডের ১৫ রানে ২৮ রানের ক্যামিওতে তারা ১৮০ রানে নোঙর করে।