গত দুইদিনে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল নেমে এসেছে। এতে জেলাটির ২৬টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫ উপজেলার ৬ লাখ মানুষ।
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা বিশেষ করে তাহিরপুর, ধরাবাজার, ছাতক, মধ্যনগর, ধর্মপাশাসহ অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ধরাবাজার এলাকার ৫টি গ্রামের বসতভিটা সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এই এলাকাগুলোতে কোনো ঈদের আমেজ নেই।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি এলাকাও ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। উত্তরার আরিফিন নগর, কালিবাড়ি রোডসহ বিশেষ এলাকাগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। তাই এখানকার মানুষদের ঈদের জামাত আদায় করতে অনেক বেগ পেতে হয়। সড়ক ডুবে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে তাহিরপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের মাঝে ঈদের আনন্দ কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, চেরাপুঞ্জিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
২০২২ সালেও ঢলের পানিতে তলিয়ে যায় পুরো সুনামগঞ্জ। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল ২৫ লাখের বেশি মানুষ। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি।