সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ, নৌ পরিবহন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং সেতু বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত বাজেটের পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এই খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। বরাবরের মতো যার বেশিরভাগই পেয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। টাকার অঙ্কে ৩৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। এদিকে একই মন্ত্রণালয়ের আরেক অংশ অর্থাৎ সেতু বিভাগ বরাদ্দ পেয়েছে ৭ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা।
পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের আওতাধীন রেলপথ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭২ কোটি টাকা। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ৫ হাজার ৬৯৫ কোটি আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভাগে পড়েছে ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা।
বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই খাতে মোট বরাদ্দের ৪৬ শতাংশ পেয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সেতু বিভাগ পেয়েছে ৮.৮৩ শতাংশ। রেলপথের বরাদ্দের হার ৩১.৮০ শতাংশ। নৌ পরিবহনের ১৩.৫৯, বেসামরিক বিমান পরিবহনের ৬.৭৯ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ২.৯২।
গেল কয়েক বছরের বাজেট বিশ্লেষণে দেয়া যায়, প্রতিবারই বরাদ্দের বড় অংশ যায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৪৫ শতাংশ। যেখানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২২ শতাংশ, নৌ পরিবহনের ১২ শতাংশ, সেতু বিভাগে ১০.৫ শতাংশ, বেসামরিক বিমান পরিবহনের ৭.৫ শতাংশ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ৩ শতাংশ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ শামসুল হক খান বলেন, 'বারবরই তেলা মাথায় তেল দেয়া হচ্ছে। রেল এবং নৌ পরিবহনের মতো কার্যকরী সেক্টরকে বাদ দিয়ে শুধু সড়ক-মহাসড়কে জোর দিলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে।'
এদিকে, এবারের বাজেটেও পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে কয়েকটি মেগাপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেট্রোরেলের আরেক লাইন এমআরটি-১, পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প ও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলবে।