স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ঢাকা উত্তরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড

ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। কিন্তু মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের যথাযথ উদ্যোগ নেই বলে দাবি এলাকাবাসীর। ওয়ার্ডের সীমানা ঘেঁষা অপরিচ্ছন্ন খাল এবং মানুষের অসচেতনতায় বাড়ছে সংক্রমণের শঙ্কা। তবে ডেঙ্গু নিধনে সজাগ থাকার দাবি জনপ্রতিনিধির।

রাজধানীর মিরপুরের বড়বাগ, মনিপুর, পীরেরবাগ ও শেওড়াপাড়ার একাংশ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড। জনবসতিপূর্ণ এলাকাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং এডিসবাহিত কর্মসূচির প্রাক বর্ষা জরিপে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকাভুক্ত হয়েছে।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক 'ব্রুটো ইনডেক্স'। স্বীকৃত এই মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে করা হয়। সেখানে এই ওয়ার্ডে লার্ভার ঘনত্ব ৪০ শতাংশ।

ওয়ার্ডের পাশ্ববর্তী খালের নোংরা পানি আরও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে জানায় এলাকাবাসী। তাদের একজন বলেন, 'কোন জায়গায় নোংরা পানি থাকলে আমরা তা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতেছি। সেই সাথে ডাবের খোসা-পলিথিন সরিয়ে নিচ্ছি।'

পাশাপাশি গলিতে গলিতে এডিসের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত নির্মাণাধীন ভবনও চোখ রাঙানি দিচ্ছে। সেখানে গিয়ে সিটি করপোরেশনের সচেতনতা কার্যক্রম চালালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি বাসিন্দাদের।

স্থানীয় একজন বলেন, 'সিটি করপোরেশন থেকে যে ধোঁয়াটা দেয় এতে কোন কাজ হয় না। একটা মশাও মরে না।'

গেল ডেঙ্গু মৌসুমে বাসিন্দাদের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বরে। সঙ্গে এবারের ঝুঁকির বিষয়টি তো আছেই।

ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই মশক নিধনে কাজ করছেন বলে জানান ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা। বলেন, 'এলাকায় প্রচুর পরিমাণে নির্মাণাধীন ভবন আছে। সুতরাং এখানে আমাদের একটু চ্যালেঞ্জ আছে। যেহেতু আগে থেকেই জেনে গেছি এ এলাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।'

খালের এলাকা তিন ওয়ার্ডের সীমানায় হলেও তা কয়েকবার পরিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি কাউন্সিলরের। আর এডিস মশা দমনে বাসিন্দাদেরও সচেতন হবার আহ্বান।