এশিয়া
বিদেশে এখন

দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠালো উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও আবর্জনা ভর্তি শত শত বেলুন পাঠালো উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী দেশকে বিরক্ত করতে এমন উদ্ভট কর্মকাণ্ড করছে কিমের দেশ এমন দাবি সিউলের। বেলুনগুলোর ভেতরে সিগারেটের বাট, কাপড়, কাগজ ও প্লাস্টিকের বর্জ্য ছিল। এর আগেও মলমূত্রে ঠাসা কয়েকশ বেলুন পাঠিয়েছে তারা।

পিয়ংইয়ং-সিউলের এই বেলুনে ভর করে লড়াইয়ের খেলা নতুন নয়। ১৯৫০-এর দশকের কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই পাল্টাপাল্টি অপপ্রচারমূলক লিফলেটসহ বেলুন পাঠিয়ে আসছে দুই দেশ।

দু'দিনের ব্যবধানে আবারও ৬০০টি আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠালো উত্তর কোরিয়া। প্রতিটি বেলুনে ছিল সিগারেটের বাট, কাপড়, কাগজ ও প্লাস্টিকের বর্জ্য। বেলুনগুলো এসে রাজধানী সিউলের বেশকিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার ৯ প্রদেশের ৮ টিতেই মিলেছে আবর্জনা ভরা বেলুন।

বেলুনের সংস্পর্শে না আসতে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে স্থানীয় পুলিশ। এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কর্নেল লি সুং-জুন বলেন, উত্তর কোরিয়ার এই অমানবিক, নিচু স্তর ও বাজে কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধের জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এমন নোংরা কাজের দায়ভার তাদের নিতে হবে। এসব কাজ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক অধিকারকর্মীদের একটি দল উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০টি বেলুন পাঠায়। এর প্রতিবাদে গত ৩০ মে দক্ষিণ কোরিয়ার সুরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় ২৬০টি বেলুন পাঠায় উত্তর কোরিয়া। যেগুলোর ভেতরে ছিল মলমূত্র ও ময়লা-আবর্জনা।

প্রতিশোধ ও তাদের বিরক্ত করতে এসব কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে কিম জং উনের দেশ এমন দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার । ২০১৬ সালেও বেলুনে করে টয়লেট পেপার, সিগারেটের বাট, ময়লা-আবর্জনা পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তখন সেগুলোকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পদার্থ বলে বর্ণনা করে উত্তর কোরিয়ার পুলিশ।

এসএসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর