খাদ্যশস্য উৎপাদনে কুষ্টিয়ার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন শুধুই বিষবৃক্ষ তামাকের চাষ। যতদূর চোখ যায় মাঠজুড়ে কেবল তামাক আর তামাক। এবছর জেলায় ১০ হাজার ৯শ' ৩১ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে এই তামাক। এতে কমেছে অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ। ক্ষতিকর জেনেও বেশি মুনাফার লোভে দিনদিন তামাক চাষে ঝুঁকছে এখানকার চাষিরা।
কৃষকদের একজন বলেন, 'তামাক চাষের কারণে আমাদের এলাকার ধান আবাদ কমে গিয়েছে।'
আরেকজন বলেন, 'অন্য ফসলের তো দাম নেই এখন তামাকের দাম ভালো তাই তামাক চাষ করছি।'
চিকিৎসকরা বলছেন, তামাক চাষে ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। দ্রুত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দীর্ঘ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে এ অঞ্চল।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড.তাপস কুমার সরকার বলেন, 'যারা তামাক চাষ ও তামাক প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তাদের দিন দিন স্বাস্থ্য ঝঁকি বেড়ে যাচ্ছে।'
জেলায় দিন দিন তামাক চাষ বাড়লেও কৃষি বিভাগ বলছে, তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. টিপু সুলতান বলেন, 'কৃষি বিভাগ থেকে তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে।'
দ্রুত এই তামাক চাষ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবী সচেতন মহলের।
সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, 'ব্রিটিশ টোবাকে, জাপান টোবাকো স্বাস্থ্যের দিকে নজর না দিয়ে ব্যবসায়ীদিক বিবেচনা করে কৃষকদেরকে তামাকে চাষে উৎসাহিত করছে।'
তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বাড়বে খাদ্যশস্য উৎপাদন, দূর হবে দীর্ঘ স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা।