দেশে এখন
0

সুনামগঞ্জেও বাড়ছে নদ-নদীর পানি, আতঙ্কে বাসিন্দারা

সুনামগঞ্জেও টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি। ঢলের পানিতে যে কোন সময় সীমান্ত এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে দিন কাটছে জেলার বাসিন্দাদের।

প্রতি বছর ঝড়-বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যায় তলিয়ে যায় ভাটির জেলা সুনামগঞ্জ। ২০২২ সালের ১৬ জুন সুনামগঞ্জে স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যা হয়। তারপর থেকে এই অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়লেই উৎকণ্ঠা বাড়ে জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষের।

গত ৪ দিন ধরে সুনামগঞ্জে ঝড়ো বাতাস ও মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমা, কুশিয়ারা, রক্তি, বৌলাই ও যাদুকাটা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন হাওর অঞ্চলের মানুষ।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ সীমান্ত নিকটবর্তী এলাকায় বসবাস করেন। ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রথমে এইসব উপজেলার গ্রামগুলো প্লাবিত হাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ ছুটছেন উঁচু স্থানে।

স্থানীয়দের একজন বলেন, 'আমরা তো নিচু এলাকায় থাকি। পাহাড়ি ঢল এসেছে। পানি বেড়েছে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।'

তবে সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদ-নদীর পানি বাড়লেও জেলায় নেই বন্যার আশঙ্কা।

সুনামগঞ্জ পানি বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, 'এখন পর্যন্ত হাওরে পানি বাড়লে বন্যার আশঙ্কা নেই। পর্যাপ্ত ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।'

২০২২ সালের ১৬ জুনের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মৃত্যু হয় ৪ লাখ গবাদিপশুর।

ইএ