দেশে এখন

নড়াইলে বছরে অন্তত ১২শ' কোটি টাকার মাছ বিক্রি

এক সময়ে নড়াইলের মানুষের চাহিদা মেটাতে আশপাশের জেলা থেকে সরবরাহ হতো মাছ। তবে এই জেলার মাছই এখন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তাতে একদিকে মিটছে আমিষের চাহিদা অন্যদিকে সমৃদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতি। সংশ্লিষ্টদের দাবি, বছরে অন্তত ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার মাছ উৎপাদন করেন নড়াইলের মৎস্যজীবীরা।

নড়াইল সদর, লোহাগড়া এবং কালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি বিলে গেলে যতদূর দুচোখ যায় দেখা মেলে বিশাল বিশাল ঘেরের। যেখানে প্রান্তিক মাছ চাষিরা রুই, কাতল, মৃগেল, শিং, পাবদা, কইসহ অন্তত ২০ প্রকার মাছের চাষ করছেন। তুলনামূলক কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে মাছ চাষ। জেলার ৩শ'র বেশি ঘেরে মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।

নড়াইলে বিভিন্ন এলাকাতে গড়ে উঠেছে অন্তত ১০টি মাছ বিক্রয় কেন্দ্র । বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এখান থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান। যাতে বছরে অন্তত ১২শ' কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হচ্ছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এ সকল মাছ যাচ্ছে গোপালগঞ্জ, মাগুরা, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ২০টি জেলায়। এমনকি প্রতিদিন কয়েক ট্রাক মাছ রপ্তানি হচ্ছে প্রতিবেশি ভারতে।

মৎস্য চাষি একজন বলেন, 'অনেক ব্যাপারী আছে তারা আসে বিভিন্ন জায়গা থেকে। এই মাছগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।'

মাছ ব্যবসায়ী একজন বলেন, 'আমাদের এখানকার আমিষের চাহিদা পূরণ করেও মাছ অন্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে।'

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, নিরাপদ মাছ উৎপাদনে চাষিদের পাশে রয়েছে মাঠকর্মীরা। মাছ চাষ বাড়াতে সব ধরণের সহায়তা করা হচ্ছে।

নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান বলেন, 'আমাদের মাঠ কর্মীরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে কৃষকদের নিরাপদ মাছ উৎপাদন করতে।'


ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর