কৃষি
দেশে এখন

৩০ শতাংশ উৎপাদন বাড়াতে পারে কৃষি প্রযুক্তি

কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এতে কৃষকের আয় বাড়বে সঙ্গে সাশ্রয় হবে সময়ের, কমবে খরচ। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রযুক্তি হতে হবে কৃষকবান্ধব, এতেই মিলবে সফলতা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) কৃষি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক সেমিনারে এসব তথ্য উছে আসে।

গতানুগতিক পদ্ধতিতে এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, পরিষ্কার ও বস্তা প্যাকেটের কাজে ৮ হাজার ৩৩৮ টাকা যেখানে খরচ হয়, সেখানে একটি মিনি কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ৩ হাজার ৯৪২ টাকায় এসব কাজ করা সম্ভব। অন্যদিকে একটি মিনি রিপার মেশিন দিয়ে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ধান এবং ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ জমির গম কাটা যায়। যন্ত্র দিয়ে ফসল কাটতে প্রতি একরে শ্রমিক লাগে একজন। আর গতানুগতিক পদ্ধতিতে ফসল কাটতে শ্রমিক লাগে ৮ জন। এ ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় হয় ৮৭ ভাগ। এমন তথ্য দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এছাড়া কৃষি খাতে আইওটি ডিভাইস ও এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাটি ও আবহাওয়ার তাৎক্ষণিক অবস্থা সম্পর্কে জেনে ফসলের উৎপাদন প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ ২০ শতাংশ কমিয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আয় বাড়বে। তবুও দেশের অধিকাংশ এলাকায় চাষাবাদ চলছে সনাতনী পদ্ধতিতে।

উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, কৃষকরা এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে মূলত কৃষিতে উৎপাদন কিংবা ন্যায্য দাম না পাওয়ায়। তাই কৃষি খাতকে প্রযুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সরকার ও বেসরকারি খাতকে এ উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর।

কৃষকের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের তাগিদ দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'কৃষকের কর্মপদ্ধতিকে যদি অটোমেট না করে নতুন কর্মপদ্ধতি তাকে দেয়া হয় তাহলে সে এটা এডাপ্ট করবে না। করণ শতশত বছর ধরে এভাবে ফসল ফলিয়ে তারা সফল।'

কেবল কৃষি উপকরণ নয়, কৃষিবান্ধব অর্থনীতির জন্য তথ্য হালনাগাদ, সহজ শর্তে ঋণ আর সারে ভর্তুকি জরুরি বলে মনে করেন সেমিনারে অংশ নেয়া অংশীজনেরা।

ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ বলেন, 'প্রসেসিংয়ে ইনভেস্টমেন্ট দরকার। এটার জন্য প্রযুক্তি দরকার। ২ কোটি কৃষকের কাছে একটা অর্থ পৌঁছে দিতে চাইলে তা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব।'

বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য স্মার্ট ফার্মিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। আর বাংলাদেশকেও এটির সঙ্গে খাপখাওয়াতে হবে, এমন তথ্যই উঠে আসে সেমিনারে।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর