চুক্তি
অর্থনীতি
0

বন্ধই থাকছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ

আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার আদেশ

বন্ধই থাকছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। ইতাল থাই কোম্পানি ও চীনা সিনোহাইড্রো কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর দ্বন্দ্বে থেমে গেছে এক্সপ্রেসওয়ের গতি। সিঙ্গাপুরে সালিশ মিমাংসা আদালতের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত স্থগিত থাকবে দুটি কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া। সিঙ্গাপুর আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য তিন মাস অপেক্ষা করবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে সরকারের অগ্রাধিকার দেয়া মেগা প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। ঢাকার যানজট নিরসনে নেয়া এই উড়াল সড়কের কাজ চলছিলও দ্রুত গতিতে। কিন্তু হঠাৎ করে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে থেমে যায় এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। শ্রমিক শূন্য হয়ে যায় মগবাজার অংশ। যদিও গেল বছরের ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটার পথ চালু করা হয়। আর এ বছরের জুনের মধ্যে তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক শালিস আদালতে ইতাল থাই কোম্পানি একটি মামলা করে। পরে দুই প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্ব গড়ায় হাইকোর্টেও। এ কারণে ঋণ সহায়তার টাকা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।

চলতি সপ্তাহের রোববার এক্সপ্রেসওয়ের ইতালিয়ান থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় হাইকোর্ট। পরে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ইতাল থাই কোম্পানি।

আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশের ওপর তিনপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি করেন। পরে আদেশে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে সালিশ আদালতে করা মামলার প্রথম বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত দেবে আপিল বিভাগ। এজন্য ২৯ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করবে সর্বোচ্চ আদালত। আর এতেই আবারও ঝুলে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। এ সময়ের মধ্যে চীনা কোম্পানি কোনো টাকা ছাড় দিবে না।

ইতাল থাই ও চীনা কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর দ্বন্দ্বে কাজ আটকে গেলেও বাংলাদেশ তাদের শেয়ারের অংশ বিনিয়োগ করে কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইতাল থাই কোম্পানির আইনজীবী।

চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ অর্থের যোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আর বাংলাদেশ দেবে ২৭ শতাংশ অর্থ। ইতাল থাই কোম্পানির শেয়ার ৫১ শতাংশ, চীনা দুটি কোম্পানির যথাক্রমে ৩৪ ও ১৫ শতাংশ শেয়ার।