দেশে এখন
0

মশার উপদ্রবে বেকায়দায় দক্ষিণ সিটির ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকাবাসী

অপরিষ্কার খাল, খালে কিউলেক্সের লার্ভা আর সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব এরকম সমস্যায় দিন পার করছে রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আর কালেভদ্রে ছিটানো হচ্ছে মশার ওষুধ। এদিকে খাল অপরিষ্কার করায় জনপ্রতিনিধি উলটো দোষ দিলেন এলাকাবাসীর।

রাজধানীর পুরোনো কুতুবখালী খাল হয়ে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া এলাকার পানি শীতলক্ষ্যা ও বালু নদে গিয়ে পড়তো। তবে সেই দৃশ্য এখন অতীত। দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু হয়ে শনির আখড়া পর্যন্ত যেতে কয়েক জায়গায় আটকে আছে খালের পানি। এতে জমে আছে প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন বর্জ্য। যাতে আটকে আছে পানির স্রোত।

মাঝেমধ্যে এই খাল পরিষ্কার করা হলেও নানা অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। সংসদ সদস্য, সিটি মেয়র বা ভিআইপি কেউ পরিদর্শনে আসার আগেই শুরু হয় খাল পরিষ্কারের তোড়জোড়।

এদিকে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তারা বলেন, এই এলাকায় মশার ওষুধ কম ছিটানো হয়। মশার যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ। দিনের বেলাতেও মশারি টানিয়ে ঘুমাইতে হয়। কয়েলেও মশা যায় না। আমরা খুব অসুবিধার মধ্যে আছি। মশার উপদ্রব অনেক বেশি। মশার ওষুধ দিয়ে যায় কিন্তু মশা মরে না। নিয়মিত ওষুধও দেয় না।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লা বলেন, 'একদিকে পরিষ্কার হচ্ছে আর অন্যদিকে এলাকার লোকজন ময়লা ফেলছে। তাহলে পরিষ্কার থাকবে কীভাবে। এলাকার মানুষ চাইলেই পরিচ্ছন্ন করে রাখতে পারে।'

গতবছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। তাই এ বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার তাগিদ এলাকাবাসীর।