বাজার
দেশে এখন

২৪ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়

উত্তোলন মৌসুমের ২৪ থেকে ২৮ টাকার প্রতি কেজি আলু হিমাগারসহ ব্যবসায়ীদের কয়েক হাত বদল হয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায় ভাড়া বাড়িয়েছেন হিমাগার মালিকরা। এছাড়া পরিবহন, শ্রমিক, হাট-ইজারার খরচ বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে।

গেল ফ্রেব্রুয়ারিতে আলু উত্তোলন ও সংরক্ষণের সময় বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে জাতভেদে ২৪ থেকে ২৮ টাকা। এখন সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

আলুর দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেজিপ্রতি ২ টাকা হিমাগারের খরচ, পরিবহন ও অন্যান্য ব্যয় বাড়ায় বাজারে আলুর দামে প্রভাব পড়েছে।

একজন আলু ব্যবসায়ী বলেন, 'মৌসুমের সময় আলুতে ২২ থেকে ২৩ টাকা খরচ হয়েছিল। তখন ২৮ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করেছি। তবে এখন কেনা পড়ছে ৩০ টাকা কেজি, সাথে কেয়ারিং খরচ আছে ২ টাকা আবার স্টোরেজ খরচ ৭ টাকা লাগে। সেজন্য দাম বেড়েছে আলুর।'

দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়াসহ হিমাগারের জন্য আমদানিকৃত গ্যাস ও যন্ত্রপাতির দাম বেড়ে যাওয়ায় পাওয়ায় হিমাগারের খরচ বেড়েছে। তাই আলু সংরক্ষণ খরচও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান হিমাগার মালিকরা।

তবে ব্যবসায়ীরা কেজিতে দু'টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদ করছেন। এ নিয়ে কয়েকটি হিমাগারে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বাড়তি ভাড়ার কারণে আলু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে কয়েকটি হিমাগারে।

বগুড়া শিবগঞ্জের নিউ কাফেলা কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মিল্টন বলেন, 'আমাদের কোল্ড স্টোরেজের যে বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস আছে সেগুলো বাজারে এখন দাম অনেক বেশি।'

দেশে উদ্বৃত্ত আলুর উৎপাদনের কথা বলা হলেও চলতি বছরে একমাস আগ থেকে হিমাগার থেকে আলু উত্তোলন হচ্ছে, এর কারণ কী?

উত্তরে বাজারে কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের বেশি দাম পাবার কথা জানান কৃষি কর্মকর্তা। দাবি করেন, এতে কোনো সংকট তৈরি হবে না।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক নাজমুল হক মণ্ডল বলেন, 'আলুর সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে এই মৌসুমে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা কোল্ড স্টোরেজ থেকে উঠিয়ে বিক্রি করছে।'

বগুড়া ও জয়পুরহাটে ৬১টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার টন।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর