স্বাস্থ্য
দেশে এখন

ডেঙ্গুতে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোর চিত্র পাল্টায়নি

গত বছর ডেঙ্গুতে ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলো এ বছরও ঝুঁকির আওতায়। এতে এবারও ডেঙ্গু বৃদ্ধির শঙ্কা নগরবাসীর। কাউন্সিলররা বলছেন, লোকবল সংকটে মশার ওষুধ দেয়া যাচ্ছে কম। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার ডেঙ্গুতে ভর্তি রোগীর তুলনায় আউটডোরে সেবা নিচ্ছেন বেশি রোগী, তাই আগেভাগেই সতর্ক না হলে হুট করেই বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ।

মশার আক্রমণে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরায় ডেঙ্গু। প্রাণঘাতী এই পতঙ্গের ভয় মানুষকে তাড়া করে প্রতি বছর।

রাজধানীর মুগদা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড গতবছরও ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোর তালিকায় ছিল অন্যতম। এ বছরও মশার উপদ্রব আছে, এতে নাগরিকদের দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্যে।

স্থানীয় একজন বলেন, 'তিনতলায় থাকি, সেখানে নেট দেওয়া থাকে, তারপরও মশা কামড়ায়। এর মধ্যে ডেঙ্গু মশা কোনটা, তা তো আমরা চিনি না। বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর উৎপাৎ বেশি থাকে।'

এলাকাটিতে নির্মিত ভবন আর ময়লা ও ডাবসহ ফলমূলের খোসায় মশার উপদ্রব বাড়ার শঙ্কা বাসিন্দাদের। বিপরীতে মশক নিধন কর্মীদের ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় কম।

ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম জানালেন, লোকবল আর ওষুধের সংকট কিছুটা আছে। তাই নিয়মিত বিরতিতে দেয়া হয় মশার ওষুধ।

কাউন্সিলর বলেন, 'ওষুধ নিয়মিতই দেয়া হচ্ছে। কয়েক প্রকারের মেশিন দিয়ে মশা মারার ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত। লোকবলের কিছু সংকট আছে।'

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতবছরের চেয়ে এবার হাসপাতালে রোগী ভর্তি কিছুটা কম থাকলেও সেবা নিচ্ছেন বেশি। তবে বৃষ্টি বাড়লে রোগী আরও বাড়ার শঙ্কা তাদের।

মুগদা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, 'গত বছরের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে ডেঙ্গু রোগী।'

দেশে এ মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু কমাতে বর্ষার আগেই সতর্ক হওয়ার আহ্বান কীটতত্ত্ববিদদের।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর