বিদেশে এখন

ইরানের বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধকালীন মডেলের

ভিয়েতনাম যুদ্ধের যুগের হেলিকপ্টার বেল টু ওয়ান টু। এই মডেলের হেলিকপ্টারে চড়ে আজারবাইজান থেকে তারবিজে ফেরার পথে নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী ঐ হেলিকপ্টারের ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এরোস্পেস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেল ট্যাক্সট্রনের প্রাগৈতিহাসিক এই হেলিকপ্টারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

১৯৬০ সালে কানাডার সেনাবাহিনীর জন্য নির্মিত ইউ এইচ ওয়ান ইউরোকয় মডেলের হেলিকপ্টারের মানোন্নয়নের দায়িত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্রের এরোস্পেস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেল ট্যাক্সট্রন। একটি পরিবর্তে দুটি ইঞ্জিন সংযুক্ত করে হেলিকপ্টারটির সক্ষমতা বাড়িয়ে নির্মাণ করা হয় বেল টু ওয়ান টু মডেলের হেলিকপ্টার।

ভিয়েতনাম যুদ্ধের যুগে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বেল টু ওয়ান টু হেলিকপ্টারটি মূলত সেনা সদস্যরা ব্যবহার করলেও, একই সক্ষমতা সম্পন্ন ইউ এইচ-ওয়ান এন মডেলের হেলিকপ্টারের চাহিদাও ছিল অনেক। বিশ্বের অনেক দেশের সরকার প্রধান ও নামীদামি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা ব্যবহার করতে শুরু করেন বেল ট্যাক্সট্রন নির্মিত কপ্টার দু'টি।

এখনো পর্যন্ত বেল টু ওয়ান টুর মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠলেও হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির মৃত্যুর পর এই হেলিকপ্টারের মান নিয়ে নানা মন্তব্য ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। প্রশ্ন তুলছে ইরানসহ নানা দেশের গণমাধ্যম।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহাদা বলেন, 'বৈরি আবহাওয়া প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দ্রুত অবতরণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইরনা ও আধা সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি বলছে দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারের ভেতরে দুই কর্মকর্তার সাথে রেডিওর সাহায্যে যোগাযোগ করা হয়। তবে, তাদের সাথে কি আলাপ হয়েছে তা জানা যায়নি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিল্পবের পর ইরানের কাছে এই মডেলের কোন হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর