বিদেশে এখন

জোড়াতালির মাধ্যমে চলছে ইরানের এভিয়েশন খাত

ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইরানে আকাশপথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২ হাজার ব্যক্তি। গেল ২৪ বছরে দেশটিতে বিমানের বড় দুর্ঘটনা হয়েছে ২২টি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উড়োজাহাজ কিংবা যন্ত্রাংশ কিনতে পারছে না ইরানের সরকার। তাই জোড়াতালির মাধ্যমে চলছে দেশটির এভিয়েশন খাত।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর থেকে আলোচনায় দেশটির এভিয়েশন খাত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্য বলছে, ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ইরানে আকাশপথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২ হাজার ব্যক্তি। চলতি শতাব্দীতে দেশটিতে বড় বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে ২২টি। গেল ১০৫ বছরের ইতিহাস ঘেটে পাওয়া গেছে সংখ্যাটি দেড়শোর বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ মিশরে একই সময় বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১২৬টি উড়োজাহাজ।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারকারী দেশটিতে আকাশপথে এতো বেশি দুর্ঘটনার কারণ কী? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে নতুন উড়োজাহাজ কিংবা এর যন্ত্রাংশ কিনতে পারছে না ইরান। এতে করে অনেক উড়োজাহাজ খুলে এর যন্ত্রাংশ লাগাতে হচ্ছে অন্য উড়োজাহাজে।

জোড়াতালির আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থার আরেকটি তথ্য পাওয়া যায় এয়ারফ্লিটস ডট নেট এর পরিসংখ্যানে। ইরান এয়ার কিংবা মাহান এয়ারের মতো বড় এয়ারলাইন্সগুলোর উড়োজাহাজ দেশটিতে সেবা দিয়ে আসছে গড়ে ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে। তাই যুগের চেয়ে তাল মেলাতে গিয়ে বারবারই হোচট খাচ্ছে ইরানের উড়োজাহাজ ব্যবস্থা।

ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা হয় ২০০৩ সালে। সেসময় পাহাড়ি রাজ্য কেরমানে ঝড়ো হওয়ার কবলে পড়ে রাশিয়া নির্মিত উড়োজাহাজ ইলিউশিন ইল সেভেন্টি সিক্স এমডি। প্রাণ হারান ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ডসের ২৭৫ সদস্য।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর