বিদেশে এখন

রাইসি'র আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক বিশ্ব

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক পুরো বিশ্ব। এই দুর্ঘটনার বিষয়টি তদারকি করছে যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই ঘটনায় মার্কিন এক সিনেটরের মন্তব্য, বিশ্ব এখন অনেক বেশি নিরাপদ হয়েছে। সমবেদনা আর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইরানে ভয়ঙ্কর ক্ষমতার লড়াই শুরু হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

ইসলামিক রিপাবলিক রাজনৈতিক অবকাঠামোতে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির পর রাইসি ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। হঠাৎ তার মৃত্যুতে হতবাক মধ্যপ্রাচ্য। উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে তুর্কিয়ে। সহযোগিতায় স্যাটেলাইট সার্ভিস চালু করেছে ইউরোপীয়ান কমিশন। যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি গভীরভাবে তদারকির কথা জানিয়েছে। যার যার মতো সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে সৌদি আরব, ইরাক, মিশর। সমবেদনা জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে চীনও।

যদিও মার্কিন রিপাবলিকান নেতা রিক স্কট বলেছেন, যদি রাইসি সত্যি মারা গিয়ে থাকে, ইরানের মানুষ হত্যাকারী স্বৈরশাসক থেকে দেশ রক্ষার সুযোগ পেয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার। এভিয়েশন বিশ্লেষকরা বলছেন, সেসময় আকাশে অনেক বেশি কুয়াশা ছিল। এই ঘটনায় পুড়ে গেছে পুরো হেলিকপ্টার।

ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আয়াতুল্লাহ আল খোমেনির মৃত্যুর পর যেভাবে ইরানে ভয়ঙ্কর ক্ষমতার লড়াই শুরু হতো, এখন ইব্রাহীম রাইসির মৃত্যুর পর সেই পরিস্থিতিই হবে। তাদের দাবি, অন্যান্য ইসলামিক রিপাবলিকদের তুলনায় রাইসি'র সহিংসতার পরিমাণ বেশি। দেশে চরমভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির সম্ভাবনাও আছে।

সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আর খোমেনির সম্মতি নিয়ে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে হস্তান্তর করা হবে প্রেসিডেন্টের সব দায়িত্ব।

এসএসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর