১৯৭৫ সালের এক ভোররাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একদল বিপথগামী সৈনিক। সেদিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য প্রাণ হারায় ঘাতকের বুলেটে। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
জার্মানি, লন্ডন ও ভারতে দু'বোনের শরণার্থী জীবন কাটে দীর্ঘ ৬ বছর। ততদিনে দেশে দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয় ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে। দলের সভপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। সেবছর তিনি দেশে ফেরেন ১৭ মে।
সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, 'তিনি যেদিন ঢাকা আসলেন বোন, স্বামী, সন্তান কাউকেই সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেননি। কারণ তাদেরও প্রাণের ভয় ছিল। এমন একটা অবস্থায় তিনি দলকে সংঘটিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে একাত্তরের চেতনায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। তখন শতমুখী চক্রান্ত ছিল।'
স্বজন হারিয়ে শুরু হয় তার সংগ্রামের পথচলা। জেল-জুলম উপেক্ষা করে, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দাবি আদায়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৫ বছরের সাধনা ও ত্যাগের পথ বেয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, 'তার ফিরে আসার মধ্যে দিয়ে অন্ধকার যুগের অবসানের পথ শুরু হয়েছে। প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল যে একজন নেতৃত্ব দেয়ার মানুষ ফিরে পেয়েছি।'
৪৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আর ২০ বছর ধরে তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে। এসময় অন্যন্য উচ্চতায় এগিয়েছে বাংলাদেশ।
আন্দোলন সংগ্রামমুখর রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা কারাভোগ করেছেন ৩৩১ দিন। ঘাতকের হামলার শিকার হয়েছেন বারবার। সব বাধা উপেক্ষা করে টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা।