মৌসুম যত ঘনিয়ে আসছে আগ্রাসী রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু। বছরের শুরুতে স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ কম ছিল। এপ্রিল থেকে মে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। মে মাসের প্রথম ১৫ দিনেই মারা গেছেন ৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৩২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত কয়েকদিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল শিশু। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত ঠাণ্ডা জ্বর আর ডায়রিয়ার সাথে অনেক অভিভাবকই গুলিয়ে ফেলছেন ডেঙ্গুর লক্ষণকে। ফলে হাসপাতালে যেতে বা চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বিলম্ব।
ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন শিশু বলেন, 'আজ তিন দিন হলো পেটে অনেক ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।'
অভিভাবক একজন বলেন, 'জ্বর ছিল কয়েকদিন। ওষুধ খেয়েছিলাম কিন্তু কমে না। হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।'
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর ধরণে এসেছে পরিবর্তন। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, 'অনেক রোগী আছে যারা কিন্তু জ্বরে ভোগে নাই তারপরেও তাদের ডেঙ্গু হয়েছে। বাসায় যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাকে মশারি ভিতর রাখতে হবে এবং অন্যদের কেউ থাকতে হবে।'
গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মারা যান ডেঙ্গুতে। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি মশার কামড় থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।