বগুড়া সদরের লাহারীপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম। একবিঘা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছেন। ৭ থেকে ৮ মাসে এ জমিতে বেগুন চাষে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। গড়ে ৩০ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টাকা বেগুন বিক্রি করেছেন। এবার বেগুন চাষে তার ভালো লাভ হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, 'একবিঘা জমি ১ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি হয় হয় ৪-৫ লাখ টাকা। বাজার কম তাই লাভ কম হইতেছে।'
মহাস্থান সবজির বাজারে পটল, করোলা, ঝিঙ্গা, ঢেড়শ, লাউ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। আর বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে।
বিক্রেতারা বলেন, সবজির দাম গত হাট থেকে কম। আর বাজারে আগের তুলনায় সবজি আমদানি কমে গেছে। তাই দাম অনেকটা বাড়ছে।
শহরের কলোনী বাজারের সব সবজিই মহাস্থান পাইকারি হাট থেকে কেনা। পাইকারি কেনা দামের চেয়ে এ বাজারে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে লাফিয়ে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে নিজেদের লাভসহ খরচের কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
বাজার ব্যবস্থার দূর্বলতা স্বীকার করেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান।
তিনি বলেন, 'রাজধানীর বড় বাজারের সাথে পাইকারি সবজির দাম সমন্বয় রাখতে কৃষি বিপণন এবং কৃষি বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। অচিরে এর সুফল ভোক্তারা পাবেন।'
বগুড়ায় এবার ১২ হাজার হেক্টর বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ হয়েছে। জেলার প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি অন্য জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।