ফরিদপুরের বাতাসে এখন সরিষার গন্ধ। নয়টি উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে দুলছে সবুজ আর হলুদ সরিষা গাছ। জেলায় ১৪ জাতের সরিষার আবাদ হলেও বেশির ভাগ ক্ষেতেই চাষ হয়েছে বারি-১৪ জাতের সরিষা।
চলতি রবি মৌসুমে আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। স্বল্প সময় এবং কম খরচে বাড়তি আয়ের আশা চাষিদের। জেলার প্রায় সব স্থানেই কম-বেশি সরিষা আবাদ হয়, তবে ফরিদপুর সদর, মধুখালী, বোয়ালমারী, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় আবাদ বেশি।
কৃষকরা জানান, এবার ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে। পানি নেমে যাওয়ার পর পরই তারা আবাদ শুরু করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
আরও পড়ুন:
কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যায়, ফলে সরিষা চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের তরফ থেকে নির্দেশনা রয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শাহদুজ্জামান বলেন, ‘সরকার প্রতিবছর ভোজ্যতেল আমদানির জন্য প্রায় ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে থাকে। এ তেল মানসম্মত একটি তেল।’
চলতি রবি মৌসুমে ফরিদপুরে ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে । যা থেকে ২০ হাজার টন সরিষা উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের, যার মূল্য ১৬০ থেকে ১৬৫ কোটি টাকা।





