আজ (রবিবার, ১২ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাইয়ে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কাটা ও কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আবাদি জমি কমছে, বিপরীতে জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। খামারি অ্যাপ এরকম একটি স্মার্ট প্রযুক্তি। এটি ব্যবহার করলে ফসল উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি বাড়বে ফলন।'
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিবছর সারে বিশাল অংকের টাকা ভর্তুকি দেয়। ২০২৩ সালে সারে মোট ভর্তুকি দেয়া হয় ২৫ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি।'
তিনি জানান, সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অ্যাপসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি উপকরণ বিতরণ, সার ও বীজসহ নানাভাবে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'প্রান্তিক কৃষকরা যদি অধিক মূল্য না পায় তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশে অধিক ফসল ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটবে।'
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী,বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।