ভিনিসিয়াস জুনিয়ুর, রদ্রিগো, বেলিংহামদের ছাপিয়ে বদলি খেলোয়াড়ই হলেন দলের ত্রাণকর্তা। শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমে তিন মিনিটে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিলেন হোসেলু। চমকে দিলেন প্রতিপক্ষ দলসহ নিজ দলের সমর্থকদের। আর রিয়ালের ফেরালেন আত্মবিশ্বাস।
বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করা রিয়ালের লক্ষ্যই ছিল ঘরের মাঠের দাপটে এগিয়ে যাওয়া। তবে শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আধিপত্য থাকা রিয়াল। উল্টো বিরতির পর গোল হজম করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় আসরে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
সব পরিকল্পনা যখন ব্যর্থ তখন শেষ দানটা চালেন কোচ আনচেলত্তি। এস্প্যানিওল থেকে লোনে দলে আনা খেলোয়াড়কে কাজে লাগিয়ে পান সাফল্য। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে ২০২২ এর পর আবারও রিয়াল জাদু দেখার সুযোগ পাবে দর্শকরা। এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হোসেলুর গোল হয়েছে পাঁচটি।
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে হোসেলুর সম্পর্ক অবশ্য বেশ পুরোনো। সেই ২০০৯ সাল থেকে ক্লাবটির যুব দলে নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়ে সুযোগ হয়েছিল। এরপর দলের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার হিসেবে ২০১০-১১ মৌসুমে মূল দলে অভিষেক হয় এই স্ট্রাইকারের। সে সময় বেনজেমার অনুপস্থিতে আলমেরিয়ার বিপক্ষে অবশ্য একটা ম্যাচ খেলার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোলের দেখাও পান ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
রিয়াল ছাড়ার পর জার্মান বুন্দেসলিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বেশ কয়েকটি ক্লাব ঘুরে আবারও রিয়ালের জার্সিতে নিজেকে মেলে ধরেছেন হোসেলু সানমার্টিন।