আজ (শুক্রবার, ৩ মে) কিয়েভ সফরকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন ক্যামেরন।
লর্ড ক্যামেরন আরও বলেন, ‘রাশিয়া যেমন ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা চালাচ্ছে তেমন ইউক্রেনও নিজেদের রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। এছাড়া রাশিয়াই প্রথমে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে এবং ইউক্রেন নিজেদের রক্ষায় রাশিয়ার ওপর পাল্টা আঘাত করার অধিকার রাখে।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইউক্রেন সংঘাতকে ঘিরে সরাসরি উত্তেজনা তৈরি হয়েছে যা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।’
এদিকে রাশিয়ার তেল শোধনাগারে হামলা বন্ধ না করলে এতে সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রতি হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দিমিত্রি পেসকভ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পশ্চিমাদের বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে যে, রাশিয়া যদি সামনের দিকে অভিযান অগ্রসর করে তাহলে তারা ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে কিনা।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া ম্যাক্রোঁর মন্তব্য খুবই বিপজ্জনক। তবে ফরাসি নেতা তার সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেছে, 'ইউক্রেনে রাশিয়া জয়ী হলে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।'
এছাড়া ইউক্রেনের অস্ত্র ও জনবলের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে রুশ বাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করে নিয়েছে।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ ও সুমি অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার এখন টার্গেট হচ্ছে, বিধ্বস্ত বাখমুত শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে পাহাড়ি শহর চাসিভ ইয়ার। সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মস্কো চাসিভ ইয়ার দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।